Wordpress Theme Developer হওয়ার সঠিক গাইডলাইন! কিভাবে একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপার হবেন
যদি আপনি এই আর্টিকেল কমপ্লিট করেন তাহলে আপনি জানবেন; যে কেন আপনি ওয়ার্ডপ্রেস শিখবেন? এবং কিভাবে শিখবেন, কত টাকা আয় করতে পারবেন এবং কিভাবে আয় করতে পারবেন । তো আর দেরি কেন তো চলুন শুরু করি।
কেন আমরা wordpress শিখব?
বর্তমানে wordpress ওয়ান অফ দা মোস্ট পপুলার কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, পৃথিবীতে আপনি যত সাইট দেখেন তার প্রায় 40% ওয়েবসাইট শুধুমাত্র wordpress দিয়ে তৈরি । আপনি খুব অল্প খরচে একটা ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে বানানো ওয়েবসাইটগুলো মেনটেন করা তুলনামূলকভাবে অনেক সহজ। আপনি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ই-কমার্স, পার্সোনাল, পোর্টফোলিও , রেস্টুরেন্ট বা বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট চাইলে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে বানাতে পারেন। আর এই কারণে এত ওয়ার্ডপ্রেস জনপ্রিয়। আপনি যদি ওয়েব ডেভলপার হতে চান বা ওয়ার্ডপ্রেস সেক্ষেত্রে আপনাকে কিন্তু একটা সিস্টেমেটিক কুয়েতে আগাতে হবে। আপনি যদি এই জায়গায় একটু এলোমেলো করে ফেলেন তাহলে কিন্তু আপনি সঠিক গন্তব্যে পৌছাতে পারবেন না। তাই অবশ্যই আপনার একটা সঠিক লক্ষ্য থাকতে হবে।
যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে আপনার ক্যারিয়ারটাকে বিল্ড করতে চান সেখানে আপনাকে কিন্তু অনেক কিছু শিখতে হবে এবং আমি এখন step-by-step আপনাকে বলবো যে
ডেভলপার হতে হলে কি কি প্রোগ্রামিং শিখতে হবে?
HTML. হাইপারটেক্সট মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ, যেটা দিয়ে আমরা একটা ওয়েবসাইট তৈরি করি । আপনি নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন আমরা যখনই যেকোনো ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট শেখার পরামর্শ দেয়না কেন আমরা সবার আগে এইচটিএমএল এর কথা বলি। তো এইচটিএমএল আপনি ; বেসিক সিনট্যাক্স ফর্ম ভালিডেশন এবং সিমেন্টিক এইচটিএমএল জানবেন তখন অফ রিডিং শেখার জন্য চেষ্টা করবেন ক্যাস্ক্যাডিং স্টাইল css যেটা দিয়ে আমরা css দিয়েছে ব্লগগুলো তৈরি করেছি। পাশাপাশি সিএসএস, মেডিয়া কোয়েরি।
রেসপনসিভ ওয়েব ডিজাইনের জন্য এ ব্যাপার গুলো যখন আপনি শিখবেন। তখন আপনি রেডি হয়ে যাবেন জাভাস্ক্রিপ্ট শেখার জন্য জাভাস্ক্রিপ্ট এই মুহূর্তে ওয়ান অফ দা মোস্ট পপুলার প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ।
wordpress ডেভেলপমেন্ট এর জন্য আপনাকে কিন্তু জাভাস্ক্রিপ্ট শিখতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেসর পপুলার কিছু প্লাগিন আছে আপনি যদি সেগুলো জাভাস্ক্রিপ্ট শিখেন তাহলে কাজ করতে অনেক সুবিধা হবে।
আপনার ওয়েবসাইট থেকে যদি আপনি মোবাইল ফ্রেন্ডলি করতে চান সেখানে একটা মোবাইল বাটন দিতে হয় আর আপনি চাইলে সে মোবাইল বাটন টা কে জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে তৈরি করতে পারবেন। কিন্তু আপনি যে করে দিয়ে কাজটা খুব সহজ করে ফেলতে পারেন, এর পাশাপাশি আমরা ছোটখাটো অনেক এনিমেশন আমরা যে plug-in দিয়ে করি। তো আপনি চাইলে যে কোন কিছু কমন প্লাগিন শিখে নিতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার কাজ করতে অনেক সুবিধা হবে। আপনি অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে এইচটিএমএল, সিএসএস, জাভাস্ক্রিপ্ট এবং jquary শিখে।
কিছু কমন প্লাগিন যখন আপনি শিখবেন এরপর আপনি রেডি হয়ে যাবেন ভার্শন কন্ট্রোল শেখার জন্য। এটা আমাদেরকে শিখতে হয় আমরা যখন একটা বড় ওয়েবসাইটে কাজ করি সেখানে ডেফিনিটলি একজন প্রোগ্রামার থাকে না বা একজন ডেভেলপার থাকে না। সেখানে কিন্তু একটা টিমে কাজ করতে হয় তাই টিমে কাজ করতে গেলে, কি কি আপডেট করল কেন আপডেট করল, কি মডিফাই করল, কী ডিলিট করল। সবকিছু কিন্তু একটা ট্র্যাকিংয়ের থাকে। আর চেকিং এর জন্য আমরা ভার্শন কন্ট্রোল ব্যবহার করি। অন অফ দা মোস্ট পপুলার ভার্শন কন্ট্রোল হচ্ছে গিভ এন্ড Github আপনি চাইলে গিটহাব শিখে নিতে পারে। শিখলে আপনি খুব সহজে আপনার প্রজেক্ট কে কন্ট্রোল করতে পারবেন।
তো আপনি যখন ভাষণ কন্ট্রোল শিখে ফেলেছেন। আপনাকে এখন শিখতে হবে
(পিএইচপি) php
পিএইচপি দিয়েয় কিন্ত wordpress রান করে সেজন্য পিএসপি টা আপনাকে একটু ভালো করে শিখতে হবে। মজার ব্যাপার হচ্ছে যে আপনি অলরেডি জাভাস্ক্রিপ্ট শিখে এসেছেন সেখানে আপনি জানেন ভেরিয়েবল কি লুটকি ফাংশন-কী এ ব্যাপারে সেখানে জানেন। আপনাকে কিন্তু এই ব্যাপার গুলো কিভাবে ব্যবহার করতে হয় আপনি দেখবেন যে আপনার জন্য Php একদম পানি পান্তা ভাত হয়ে গেছে।
এখন আপনাকে অবজেক্ট অরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং শিখতে হবে।
পিএইচপি এবং একবার আপনি যখন অবজেক্ট অরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং শিখে যাবেন তখন যেকোন প্রোগ্রাম আপনার কাছে পানিভাত হয়ে যাবে। যে অবজেক্ট অরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং এর উপর ভিত্তি করে আমরা কিন্তু প্রোগ্রামিং শিখব। আপনি যখন অবজেক্ট অরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং শিখে ফেলবেন তখন আপনি চাইলে জাভাস্ক্রিপ্টে ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি যদি তাকে কখনো পাইথন ডেভলপার হতে চান সেখানেও আপনি কিন্তু এই প্রোগ্রামিং ব্যবহার করতে পারবেন।
তো এজন্য জাভাস্ক্রিপ্ট আপনি যত বেশি সময় দিবেন সেটা কিন্তু আপনি তত সহজে বিভিন্ন জায়গায় ইনক্রিমেন্ট করতে পারবেন।
আপনি যখন এসকল প্রোগ্রামিং শিখে নিবেন তখন আপনি ওয়ার্ডপ্রেসের ড্যাসবোর্ড নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করুন । যে কিভাবে নতুন পোস্ট করতে হয় >পেইজ কিভাবে করতে হয় > কমেন্ট কিভাবে করতে হয়> একটা থিম কিভাবে সেটআপ করে > প্লাগিন কিভাবে ইন্সটল করে > প্লাগিন এর কাজ কি? >তারপর একটি ওয়েবসাইটকে কিভাবে কন্ট্রোল করতে হয়? > সবগুলো ব্যাপার আপনি ভাল করে শিখে নিন। কারণ আপনি এ ব্যাপার গুলো যখন জানবেন তখন কিন্তু আপনার কাজ করতে সুবিধা হবে। ক্লাইন্ট আপনাকে বলবে যে আমরা নতুন একটা ওয়েবসাইট আমাদের থিমে এড করতে চাচ্ছে। এখন আপনি যদি না জানেন কিভাবে তা করে তাহলে তা আপনি পারবেন না। কিভাবে সেট করতে হয়। তাই ওয়ার্ডপ্রেসে আপনাকে এখানে শিখে নিতে হবে।
এবার আপনার কাজ হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট এর জন্য যে ডকুমেন্টেশনের আছে তার মধ্যে সবথেকে বেস্ট ডকুমেন্টেশন বেছে নেওয়া। আমার মতে codex.wordpress.com সেরা! আপনার ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট শেখার অনেক সহজ হবে এবং সবসময় চেষ্টা করবেন আপনার থিম ডেভেলপমেন্ট এর প্রত্যেকটা কোড বোঝা যায় এমন ভাবে প্রগামিং করতে হবে। আপনি যদি কপি করে করে করে লিখেন তাহলে কিন্তু আপনি অনেক ভালো কাজ করতে পারবেন না। কোড কপি সবাই করে আমিও করি এবং আমার থেকে অনেক বড় যারা প্রোগ্রামার যাদের 10- 15 বছরের ওয়ার্ডপ্রেস এর উপর এক্সপেরিয়েন্স তারাও কিন্তু কোড কপি করে। কিন্তু এটা কোন সমস্যা না কিন্তু আপনাকে বুঝতে হবে যে আপনি এই কোডটা কেন আপনার প্রজেক্ট ব্যবহার করেছেন। এজন্য আমি আপনাকে বলছি প্রত্যেকটা কোড খুব সুন্দর করে বুঝান তাহলে আপনার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট টা অনেক সহজ এবং পারফেক্ট হবে।
ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট
আপনি যখন তিন-চারটা ওয়ার্ডপ্রেস থিম বানাবেন বানাতে পারবেন এরপরে আমি রিকুমেন্ট করব আপনি প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট শিখুন। wordpress থেকে আপনি যদি একটা ফিচার এড করতে চান তাহলে কিন্তু সেটা প্লাগিন এড করে করতে হয়। প্লাগিনে আমাদের ওয়েবসাইটের পাওয়ার অনেক বৃদ্ধি করে, ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডেভেলপমেন্ট শেখার পর এবার আমি আপনাকে রিকোয়েস্ট করব যাতে প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট কিভাবে তৈরি করতে হয়?, প্লাগিন থেকে কিভাবে ম্যানেজ করতে হয়? এবং কিভাবে আপডেট করতে হয়? এব্যাপার গুলো শিখে নিন। তো চার পাঁচটা প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট যখন আপনি করতে পারবেন।
বুটস্ট্রাপ ( boostrap )
এরপর আমি রিকমেন্ড করব আপনি বুটস্ট্রাপ শিখুন কারণ বেশিরভাগ ক্লায়েন্ট হচ্ছে আমাদেরকে বলে দেয় যে আপনি আমার প্রজেক্টে বুস্টাপ ব্যবহার করবেন এর পাশাপাশি সাথে খুব ভালো কাজ করে তাই আপনি আর জাভাস্ক্রিপ্টের যে কোন একটা ফ্রেমওয়ার্ক সেটা অ্যাঙ্গুলার অথবা ভিউ হতে পারে। তবে আমি রিকমেন্ড করব যে আপনি রিয়াদকে শিখে নিন যদি আপনি দিতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার জন্য ভাল হবে। আপনি আপনার প্রজেক্টে যখন বুটস্ট্রাপ ইউজ করবেন।
আপনি যখন আপনার প্রজেক্ট এনিয়াক ব্যবহার করবেন আপনার প্রজেক্ট টা কিন্তু অনেক পাওয়ারফুল হয়ে যাবে। বর্তমানে কিন্তু হেডলেস wordpress টা খুব পপুলার এবং হেডলেস wordpress কিন্তু আপনার ওয়েবসাইট টা কে ফাস্ট করবে, পাশাপাশি সিকিউরড করবে। তাহলে আপনার জন্য অনেক ভালো হবে।
এর পাশাপাশি শিখলে প্রায় প্রত্যেকটা wordpress ডেভলপারদের হ্যান্ডেল করতে আমাদেরকে প্রজেক্টগুলো দেয় কখনো Photoshop কখনো ইলাস্ট্রেটরে। যদি এই সফটওয়্যার গুলোর উপর একটা বেসিক আন্ডারস্ট্যান্ডিং থাকে তাহলে কিন্তু সুবিধা হবে। তাই আপনি 'ফটোশপ' শিখে নিন।
এতো দূর পর্যন্ত আসতে পারেন তার মানে আপনি এখন একটা ভালো লেভেলের ওয়ার্ডপ্রেসচ হয়েছেন। পাশাপাশি আরও অনেক জিনিসপত্র জানার এবং বুঝার আছে , তাই আপনি ধাপে ধাপে বুঝে যাবেন যে পরে আপনাকে কি শিখতে হবে
এখন আপনি ইনকাম করার জন্য প্রস্তুত।
ইনকাম করতে পারেন আপনি ফ্রিল্যান্সিং জব যদি করতে চান আপনার কথা ফাইবারে যেতে হবে প্রতিটা ওয়েবসাইটের জন্য 200 ডলার থেকে শুরু করে কয়েক হাজার ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। আর আপনি যদি জব করতে চান সেখানে আমাদের দেশীয় যে মার্কেটগুলো আছে বা দেশে কোম্পানিগুলো আছে সেখানে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপার হিসাবে নিযুক্ত হতে পারেন৷ আমাদেরদেশে নরমালি সেলারি হয় ঃ 30 থেকে 40 হাজার টাকার মত । যদি আপনি সবগুলো ব্যাপার ঠিক ভাবে শিখেন, আর আপনি যদি বাইরে কোন কোম্পানির জব করেন সেখানে আপনি 3 হাজার থেকে 5 হাজার ডলারের মত স্যালারি পাবেন৷ আপনি চাইলে রিমোট জব করতে পারেন। জব গুলো আপনি খুঁজতে indeed.com অথবা linkdin jobs এর মত পোর্টালগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
এবার আপনি হয়তো বলবেন ভাই কোথা থেকে শিখব? আমি শিখিয়েছিলাম গুগল সার্চ করে করে এবং ইউটিউব দেখে এর পাশাপাশি আমি ইউটিউবে থেকে কোর্সেস করতাম মাঝে মাঝে বই কিনতাম। গুগোল করে করে ইউটিউব থেকে চেক করে করে, আপনিও কিন্তু wordpress সিম্বল ফর হতে পারবেন পাশাপাশি আপনার যদি কোন একটা হেল্প এর দরকার হয় সেখানে আপনি চাইলে কমেন্ট করতে পারেন।