ঘুম না হলে করনীয়? ঘুম না আসার ঘরোয়া চিকিৎসা।

রাতে ভাল ঘুম হয়না, ঘুম আসতে দেরি হয়। বিছানায় এপাশ ওপাশ করে এর এসব থেকে মুক্তর উপায়  কি?  আমরা অনেকেই নিদ্রাহীনতায় ভুগী, যার ফলে দিনের বেলায় হাই তুলতে থাকি । কাজে মনোযোগ দিতে কষ্ট হয় । সারাদিন মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে ।

ঘুম না হলে করনীয়? ঘুম না আসার ঘরোয়া চিকিৎসা।

নিদ্রাহীনতায় চিকিৎসা নিয়ে কথা বলবো উল্লেখ করব ১৩ টি ভিন্ন ভিন্ন কারণ ও তার চিকিৎসা ।

এগুলোর কোনটাই আমার মনগড়া কথা না , সবগুলোই গবেষণা থেকে তুলে ধরা । কোন চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে সেটা শেষে বলব , তাতে বুঝতে সুবিধা হবে । 

  • গবেষণায় দেখা গেছে অনেকে নানা দুশ্চিন্তা মাথায় আসতে থাকে ফলে ঘুম আসে না । এই সমস্যা সমাধানের জন্য একটা পদ্ধতি আছে যাকে বলে বলে  দুশ্চিন্তার , অর্থাৎ দুশ্চিন্তা গুলো নিয়ে ভাবার জন্য দিনের বেলাতেই একটা আলাদা সময় রাখা । ধরেন আপনি ঠিক করলেন প্রতিদিন বিকাল 5 টা থেকে সাড়ে পাঁচটা আপনার দুশ্চিন্তা করার সময় । এই সময় আপনি আপনার দুশ্চিন্তা গুলো নিয়ে ভাববেন। তাহলে এগুলো সমাধান ঘুমাতে গেলে আর আপনাকে বিরক্ত করবে না । কিন্তু ঘুমানোর সময় যদি আবার নতুন দুশ্চিন্তা আসে তখন  নিজেকে বলবেন এটা আগামীকাল এর জন্য এখন এটা নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নেই ।
  •  চা , কফি কোমল পানীয় আর এনার্জি ড্রিংক কারনে ঘুম বিনিষ্ট হয় ।কারন এগুলোতে রয়েছে  ক্যাফিন । ক্যাফিন ঘুম আসতে দেয় না ,ঘুমে বাঁধা সৃষ্টি করে । ঘুম আসলেই গভীরে ঘুমের সমস্যা থাকলে এগুলো না খাওয়াই ভালো । বিশেষ করে ঘুমের ৬ ঘণ্টা আগে এগুলো খাওয়া যাবে না । তাহলে কি খাবে ? সেটা নিয়েই পরের পয়েন্ট ।
  • যা যা খাবেন  : গরম দুধ পান করতে পারেন, কারণ দুধে আছে ট্রিপটোফ্যান । গবেষণায় দেখা গেছে এটা ভালো এবং লম্বা সময় ধরে ঘুম হতে সাহায্য করে । নিদ্রাহীনতা রোগীদের চিকিৎসা পদ্ধতি শেখানো হয়, যেটা আপনার উপকারে আসতে পারে ।  
  • ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক ঘন্টার রিলাক্স করা এটা কে বলেন ডাউন টাইম দিনের ব্যস্ততা আর দুশ্চিন্তা গুলো থেকে নিজেকে ,সরিয়ে আনতে এই সময়টা ব্যবহার করতে বলা হয় । এক ঘন্টায় যেসব কাজ করার পরামর্শ দেয়া হয় । সেগুলো হলো বই পড়া , ডায়েরি লেখা , গরম পানি দিয়ে গোসল করা , মনে প্রশান্তি আনে এমন শ্রুতি মধুর কিছু শোনা যেমন : ধর্ম গ্রন্থ বা কবিতা আবৃত্তি ,গান যেটা আপনার জন্য কার্যকর হয় । 
  • ঘুমানোর আগে যেসব কাজ করতে মানা করা হয় । সেগুলো হল ঘুমানোর আগে টিভি দেখা, কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করার কারণেই যন্ত্রগুলোর স্ক্রিনের উজ্জ্বল আলো মস্তিষ্কের সজাগ করে তোলে । ফলে ঘুম আসতে দেরি হয় । যাদের বিছানায় শুয়ে থাকার পরও সমস্যা আছে তাদের জন্য স্ট্রিমিং একটা চিকিৎসা পরামর্শ দেয়া হয় । উদ্দেশ্য হলো আপনার মস্তিষ্ক যাতে শোবার ঘর এবং বিছানা দেখলে ঘুমের কথা চিন্তা করে । 
  • শোবার ঘরের সাথে যাতে অনিদ্রার কথা মাথায় না আসে এই চিকিৎসার বেশ কয়েকটা নির্দেশনা আছে তার মধ্যে একটা হলো ঘুম না আসলে জোর করে বিছানায় শুয়ে না থাকা । যদি 10 থেকে 20 মিনিট সময় ধরে শুয়ে থেকেও ঘুম না আসে তাহলে বিছানা থেকে উঠে পাশের হাটাহাটি করা , এমন কিছু কাজ করবেন যতক্ষণ ঘুম না আসে । তারপর ঘুম আসলেই কেবল বিছানায় ফেরত যাবেন , হালকা আলোতে বই পড়তে পারেন । গান শুনতে পারেন তবে মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না কারণ ফোনে উজ্জ্বল ঘুম আসতে বাধা দিতে পারে 
  •  স্কুল চিকিৎসা পরামর্শ আরেকটি নির্দেশনাগুলো বিছানা শুধু ঘুমের জন্য ব্যবহার করা বিছানায় অন্য কাজ না করা আমরা অনেকেই বিছানায় খাবার খায় পড়াশোনা করি মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করি বাসায় থাকলে দিনের অনেকটা সময় বিছানায় কাটায় ঘুমের সমস্যা কমাতে চাইলে এগুলো স্বাধীনতার ঘড়িতে সময় দেখে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে এটা তাদের ঘুমের উপর খারাপ একটা প্রভাব ফেলে তাই তাদেরকে ঘড়ির দিকে তাকানোর পরামর্শ দেয়া হয় কি কি উপায়ে এটা করা যেতে পারে ঘড়ির মূল্য দিকে ঘুরিয়ে রাখা দেয়াল ঘড়ি থাকলে সেটার নামিয়ে নেয়া আর ফোনটা ধরে রেখে ঘুমানো আবার এসব ব্যবস্থা নিতে গিয়ে ঘড়ি একদম লুকিয়ে ফেলবেন না.
  • সময় মতো জেগে উঠতে হবে ঘড়ি দূরে আছে কিন্তু সকালবেলা এলার্ম বাজবে এবং আপনি শুনতে পাবেন এমন ব্যবস্থা করে ঘুমাবেন আর বাসায় যদি কেউ ঘুম থেকে ডেকে দেয়ার মত থাকে তাহলে তোর এলার্ম নিয়ে এত চিন্তা করার প্রয়োজন গবেষণায় দেখা গেছে অনেকের মনে ঘুম নিয়ে এমন কিছু ধারণা থাকে যে দুশ্চিন্তার উদ্রেক করে এবং ভালো ঘুম হতে ব্যাঘাত ঘটায় কিসের চিন্তা গুলো যেমন প্রতিদিন আমাকে 8 ঘণ্টা ঘুমাতে হবে যখন 8 ঘন্টা ঘুমানো আপনার জন্য সম্ভব নয় আবার ঘুমাতে যাচ্ছেন ঘুম আসছে না এরমধ্যে দুশ্চিন্তা শুরু করলেন আজ রাতে ভালো ঘুম না হলে কাল কাজে খারাপ করব পরীক্ষায় ফেল করব আবার মাঝরাতে চিন্তা শুরু করলেন যে নিদ্রাহীনতাঃ কোনদিনও ছাড়ে না আমার এটা সারা জীবন থাকবে আপনার মাথায় যদি এমন চিন্তা আসে তাহলে সেটাকে ধরে ফেলবেন আর ঠান্ডা মাথায় নিজেকে বোঝাবেন এই চিন্তাগুলো কোন ভিত্তি আছে কিনা নয় ঘুমানোর আগে আগে অনেক বেশি করে খাবার খেলে কারও কারও ঘুম ভালো নাও হতে পারে যাদের রাতে ঘুমের সমস্যা আছে তাদের.
  • ঘুমানোর তিন থেকে চার ঘণ্টা আগে রাতের খাবার সেরে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয় ঘুমাতে পারে না ঘন ঘন ঘুম ভেঙ্গে জেগে ওঠে এবং প্রায়ই তাদের খুন ব্যাহত হয় একদম সম্পূর্ণভাবে পরিহার করা সম্ভব না হলে অন্তত ঘুমানোর এক ঘণ্টা আগে ধূমপান থেকে বিরত থাকবেন 11 আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা হলো নিয়মিত ব্যায়াম করা শরীর সচল রাখে রাতে ঘুম ভালো হয় তবে ঘুমানোর 3 ঘণ্টা আগে পরিহার করতে হবে 12 শরীরকে প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে অভ্যস্ত করার জন্য নির্দিষ্ট সময় ঘুমানো আর ঘুম থেকে জেগে ওঠা প্রয়োজন যেমন আপনি যদি ঠিক করেন যে প্রতিদিন রাত 11 টায় ঘুমাতে যাবেন আর সকাল সাতটায় ঘুম থেকে উঠবেন তাহলে এই যে রাত এগারোটা থেকে সকাল সাতটা পর্যন্ত সময়ে আপনার শরীর একটা ভালো ঘুম দিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে জেগে ওঠার সময় টা প্রতিদিন একই রাখার চেষ্টা করবেন শুক্রবারে বা ছুটির দিনে আমরা একটু দেরি করে উঠবে পছন্দ করি এটা.
  • করতে হবে ।১৩ নিদ্রাহীনতার চিকিৎসায় দিনের বেলায় ঘুমাতে নিরুৎসাহিত করা হয় আর দিনের বলা যদি ঘুমাতে হয় তাহলে দুপুরে ঘুমিয়ে নিবেন তাও 40 মিনিটের বেশি নয় আপনার জন্য প্রযোজ্য এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন নিদ্রাহীনতা অন্যান্য রোগ থেকে একটু ভিন্ন যেমন নিশ্চিত জানি যে আপনার শরীর একটা জীবাণু প্রবেশ করেছে নিদ্রাহীনতার ক্ষেত্রে তেমন নিশ্চিত একটা কারণ নাও থাকতে পারে একজনের জন্য একটা হতে পারে। 

আমি যে কারণ ও তার চিকিৎসা বলেছি তার সবগুলো আপনার জন্য প্রযোজ্য হবে না যেটা যেটা আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুধু সেটাই আপনি পালন করবেন যদি এসব ব্যবস্থা নিয়েও ঘুমের সমস্যার সমাধান না হয় ঘুমের অভাব নিয়মিত সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় আপনার দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হয় ঘুমিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তা হতে থাকে তবে ডাক্তারের সহায়তা নিবেন নিজে নিজে ঘুমের ওষুধ খাবেন না অনেকগুলো কথা বললাম মনে নাও থাকতে পারে আমি যা যা বললাম সব কিছু একসাথে গুছিয়ে লেখা আছে সহায় ব্যবসায়ীদের. সেখান থেকে পড়ে নিতে পারে আপনার যতটুকু দরকার সেটা আপনি ফোনে সেভ করে রাখতে পারেন আমরা সবাই ফেসবুক পেজ থেকে বিভিন্ন রোগ ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের উপায় নিয়ে নিয়মিত ভিডিও আর্থিক প্রকাশ করছি সবগুলো আর্টিকেল অনেক যত্ন করে লেখা যাতে করে সহজেই বোঝা যায় আগামীতে কোন রোগের বিষয়ে পরামর্শ জানতে চান তা আমাদেরকে জানাতে কমেন্ট করুন পেইজ এর লিংকটা স্ক্রিনে দেখতে পাচ্ছেন আমি নিচে কমেন্টে দিয়ে দিব নিরাপদে থাকবেন শীঘ্রই নতুন কোন বিষয় নিয়ে আবার দেখা হবে


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url