ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে ও কিভাবে যাবেন বিস্তারিত
আমরা যখনই ইউরোপীয় দেশের কথা বলি, তখনই আমাদের মনে প্রথম প্রশ্নটি আসে! ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে? বা কত খরচ হবে? এই প্রশ্নের একটি সুনির্দিষ্ট উত্তর দেওয়া একটু কঠিন, কারণ ইউরোপীয় প্রতিটি দেশের অনেক কারণের উপর ভিত্তি করে, প্রতেকট দেশে আলাদা আলাদা । ইউরোপীয় অনেক দেশ আছে খুবই উন্নত আবার ইউরোপিয়ান অনেক দেশ আছে যেগুলো উন্নত নয় তাই কিছু দেশে ভিসা পেলেও সেখানে যাওয়া ঠিক না।
বিশ্বের মধ্যে ইউরোপীয় দেশের অন্যদের চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল। ইউরোপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানে ব্যয় অন্যান্য দেশের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। ভারত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং মধ্য আমেরিকায় ব্যয় অনেকটা কম।
ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে:
বাংলাদেশ থেকে ইউরোপের টিকিটের মূল্য প্রায় ২লাখ টাকা থেকে ২লাখ ৬০ হাজার টাকার মত ভ্যাট+ ট্যাক্স সহ। এই দাম সময় অনুযায়ী বাড়তে পারে এবং নামতে পারে। আপনি আপনার ট্রিপ প্ল্যানারের সাথে ফ্লাইট টিকিটের মূল্য সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন।
ইউরোপীয় ভিসার জন্য বিভিন্ন দেশ অনুযায়ী আলাদা টাকার প্রয়োজন হয়৷ তবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি ইত্যাদি কিছু দেশে যাওয়ার খরচ অনেক বেশি হয়। সেখানে যেতে হলে আগে থেকে বিভিন্ন কোম্পানিতে অনলাইনের মাধ্যমে চাকরি আবেদন করা ভালো।
আমেরিকা কিভাবে যাবেন এবং কত টাকা লাগে
বাংলাদেশর নাগরিকরা মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা (ইউএসসিআইএস) থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার জন্য ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। অনেক অ-অভিবাসী মার্কিন কাজের ভিসার জন্য নিয়োগকর্তাকে USCIS-এর কাছে একটি পিটিশন ফাইল করতে হয়। আবেদনকারীরা আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পরই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আমেরিকার জন্য অনেক ক্যাটাগরিতে কাজের ভিসা দেওয়া হয়। কাজের উপর নির্ভর করে এগুলি অনেক ধরণের হয়।
আমেরিকা |
কানাডায় যেতে কত টাকা লাগে?
কানাডায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার একটি মাত্র উপায় হল, সেখানে কাজ করার জন্য আপনার বৈধ ভাবে চাকরি করা। আপনি সেখানে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। ইউরোপীয়দেশ কানাডায় যেতে হলে প্রথমে আপনাকে কানাডায় চাকরির জন্য চেষ্টা করতে হবে। আপনি অনলাইন বা ফেসবুকের মাধ্যমে কানাডায় চাকরি খুজতে করতে পারেন। অথবা যদি আপনার পরিচিত বা আত্মীয়স্বজন সেখানে থাকেন, তাহলে তাদের কাছে চাকরির খোঁজ খবর নিন। আপনি যদি এমন চাকরি না পান, তাহলে আপনি কানাডায় ভিজিট ভিসা নিয়ে চাকরির জন্য আবেদন করতে পারেন। সেখানে চাকরি পাওয়ার পর, আপনি সেখানে কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন।
কানাডা |
কিভাবে কানাডায় চাকরি পাবেন
- কানাডায় চাকরি পেতে হলে ভালো ইংরেজি থাকতে হবে।
- আপনি যদি ফরাসি ভাষা জানেন, তাহলে কানাডায় চাকরি পাওয়া সহজ হবে।
- দেশে যদি চাকরি করেন এবং আপনার সেই চাকরির পাশাপাশি চাকরির অভিজ্ঞতাও থাকে, তবে আপনার কাছে সেই চাকরির অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে কানাডায় চাকরি খুজতে পারেন।
- আপনি যত বেশি যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি হবেন, সেখানকার কোম্পানিগুলিতে আপনি তত বেশি অগ্রাধিকার পাবেন।
- আপনি যদি সরকারি চাকরিতে অবসর গ্রহণ করেন, তার পরে আপনি যদি কানাডায় কাজ করতে চান, তাহলে আপনি তাতেও দারুণ সুবিধা পাবেন।
ইউরোপ : ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে
ইউরোপে এমন চারটি দেশ আছে যেখানে ভিসা পাওয়া সহজ । আপনি যদি এই দেশগুলি থেকে কাজের অফার পান তবে আপনি সহজেই এখানে কাজের ভিসা পেতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি ইউরোপে যেতে চান, তাহলে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে সেখানে প্রত্যেক দেশের ভাষা আলাদা। তাই সেখানকার ভাষা ও জলবায়ু সম্পর্কেও জানা উচিত। চলুন জেনে নেওয়া যাক- কোন দেশগুলো সম্পর্কে এবং ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে।
বেলজিয়াম: এ দেশের গড় আয় ৫০ হাজার ডলার। আপনি এখানে পাঁচ দিন কাজ করে একটি ভাল জীবনযাপন করতে পারেন। বেলজিয়ামে বেকারত্বর সংখ্যা খুবই কম। তাই আপনি এখানে সহজে চাকরি পেতে পারেন। এখানে মাত্র ৩ ইউরোতে অনেক খাবার পাওয়া যায় যেটা তুলনা মূলক অনেক সস্তা ইউরোপীয় দেশের মধ্যে এখানে যেতে একটু কম টাকা প্রয়োজন হয়।
বেলজিয়াম |
বেলজিয়াম যেতে কত টাকা লাগে?
ইউরোপীয় দেশ বেলজিয়াম যেতে বিমান ও অন্যান্য খরচ সহ প্রায় ৪-৬ লাখ টাকার প্রয়োজন হয়। যদি আপনি কোন সংস্থা বা দালালের মাধ্যমে যান তাহলে সেটা আরও বেশি হতে পারে।
আইসল্যান্ড: আইসল্যান্ড হল বরফে ঘেরা একটি দেশ যেখানে তাপমাত্রা খুবই কম। এখানে তুষারপাতের কারণে লোকেরা চাকরির জন্য এখানে যেতে চায় না, তবে এখানে চাকরির প্রয়োজন রয়েছে। এবং খুবই ভালো বেতনে এখানে চাকরি করতে পারেন। তবে আপনি বরফের দেশে চাকরির জন্য প্রস্তুত কিনা সেটা নিশ্চিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিন। অনেকে আবার এমন দেশে চাকরির জন্য উদ্ভব হয়ে পড়ে, এটাকে তারা এডভেঞ্চার হিসেবে দেখে । যদি আপনি আইসল্যান্ড যেতে চান তাহলে খুব অর্থের প্রয়োজন হবে না।
আইসল্যান্ড |
জেনে নিন আইসল্যান্ড যাওয়ার উপায় ও কত টাকা লাগে :
আইসল্যান্ডে আপনি সরাসরি যেতে পারবেন না। আপনার যদি কোন আত্নীয় থাকে বা যেকোনো এজেন্সি অথবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে চাকরি আবেদন করে ভিসা পেতে পারেন।
ভিসার জন্য খুব বেশি খরচ হয় না তবে ব্রোকার বা দালাল মুনাফার জন্য বেশি টাকা নিতে পারে তাই সব থেকে শ্রেয় হয় যদি আপনি নিকটাত্মীয় অথবা অনলাইনে সরাসরি চাকরির আবেদন করলে।
নরওয়ে |
নরওয়ে: এটি একটি উন্নত দেশ যেখানে জীবনকে খুব ভালো মনে করা হয়। সব রিপোর্টই বলে যে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ এখানে বাস করে, কিন্তু এখানে স্থায়ী হওয়ার জন্য চাকরি ছাড়াও অন্য শর্ত হল এখানে ভাষা জানা খুবই জরুরি।
নরওয়ের কিভাবে যাবেন কত টাকা লাগে বিস্তারিত
নরওয়ের মুদ্রা নরওয়েজিয়ান ক্রোন। 100 নরওয়েজিয়ান ক্রোনার, বা kr, বা NOK, প্রায় 10,3 মার্কিন ডলার। তাও প্রায় 9.8 ইউরো, বা বাংলাদদেশী টাকায় ১০০ নরওয়ে মুদ্রা সমান ১০০০ টাকা প্রায়
বাংলাদেশ থেকে নরওয়ে যেতে US$600 থেকে US$900 পর্যন্ত খরচ হতে পারে। বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৭০ থেকে একলাখ বিশ হাজার মত ট্যাক্স সহ। এটা শুধু বিমান খরচ ভিসা ও অন্যান্য খরচ আলাদা।
ডেনমার্ক |
ডেনমার্ক: এটি এমন একটি দেশ যেখানে বাংলাদেশে সমান নয়, আপনার যদি চাকরির কাগজপত্র থাকে তবে আপনি সেখানে ওয়ার্ক পারমিট হতে পারেন। এদেশের জন্য ভাষার বাধ্যবাধকতার নিয়ম আপনাকে মানতে হবে।
ডেনমার্কের রাজ্য উত্তর ইউরোপে অবস্থিত একটি দেশ। এটি উত্তর সাগরে 400টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। ডেনমার্ক উত্তর ইউরোপ এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ার মধ্যে সাংস্কৃতিক ও ভৌগলিক দূরত্বের সেতু হিসেবেও কাজ করে। এই আদিম কেন্দ্রস্থলটি রাস্তায় ঘুরে দেখার জন্য একটি মনোরম গন্তব্য। সুইডেন ও নরওয়ের সাথে এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এই দেশে রোডট্রিপে যাওয়া একটি দুর্দান্ত ধারণা।
কিভাবে ডেনমার্কে যেতে হয়
বিমানে - ডেনমার্কে যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হল বিমান । বিমানবন্দর থেকে রাজ্যে বেশিরভাগ ফ্লাইট করা হয়। তবে ডেনমার্ক থেকে ইউরোপ ও অন্যান্য শহরে ফ্লাইট রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সাথে সরাসরি ফ্লাইটের মাধ্যমে সংযুক্ত, তবে বিমান বিভিন্ন দেশে থামতে পারে বা বিভিন্ন দেশে গিয়ে সেখান থেকে অন্য বিমামে উঠতে হতে পারে।
রোমানিয়া |