ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদের যোগ্যতা
আপনি কি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে চান? বা শুধুমাত্র ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে চান? মেম্বার ও চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার উপায় ও যোগ্যতা সম্পর্কে আলোচনা করবো এই পোস্টে চলুন শুরু করি।
ইউপি বা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য সরকারি কিছু নীতিমালা রয়েছে। সেই নীতিমালা অবলম্বন ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করা যায় না।
আমি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে নির্বাচনের নিয়ম নীতি সম্পর্কে পড়েছি সেখান থেকে আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করবো
ইউপি নির্বাচনের জামানত খরচ
অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে যে ইউনিয়ন নির্বাচনের জন্য কতটাকা লাগে? জামানত কত? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
একজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী -কে নির্বাচনের জন্য ৫ হাজার টাকা জামানত দিতে হয়। এবং মেম্বার পদপ্রার্থী হিসাবে নির্বাচনের জন্য একজন প্রার্থীকে ১হাজার টাকা জামানত দিতে হয়। এছাড়াও সি'ডি করার জন্য উভয় প্রার্থীকে অতিরিক্ত ৫০০ টাকার প্রদান করতে হবে।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্রের মূল্য তালিকা
প্রতি নির্বাচনে বিভিন্ন দল বিভিন্ন মূল্যে নির্ধারণ করে থাকে। তবে বিগত বছর গুলোতে আমরা দেখেছি, আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন দলের মনোনয়ন পত্রের মূল্য ছিল ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
২০২২ সালে ইউপি নির্বাচনের মনোনয়ন মূল্য তালিকা ছিল:
- আওয়ামিলীগ মনোনয়ন ৩০ হাজার টাকা
- বিএনপি মনোনয়ন ৩০ হাজার টাকা
- জাতীয় পার্টি ২০ হাজার টাকা
প্রতিটি দলের মনোনয়ন মূল্যে দল কর্তৃক নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। যা কখনো বাড়তে বা কমতে পারে।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের যোগ্যতা
বাংলাদেশর আইন অনুযায়ী কিছু শর্ত রয়েছে যা একজন প্রার্থীর মধ্যে থাকলেই তবে সে নির্বাচন করতে পারবে চলুন জেনে নিই :
চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী যোগ্যতা:
- চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- প্রার্থীর বয়স পঁচিশ বছরের বেশী হতে হবে।
- চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে উক্ত ইউনিয়নের যেকোনো ওয়ার্ডের সদস্য হতে হবে।
- চেয়ারম্যানের জন্য রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন বা সতন্ত্র হতে হবে।
- যদি তিনি আদালতে আসামি হিসাবে গন্য না হন।
মেম্বার পদপ্রার্থী যোগ্যতা:
- মেম্বার প্রার্থীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- বয়স পঁচিশ বছরের বেশী হতে হবে।
- মেম্বারের ক্ষেত্রে উক্ত ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় তার নাম থাকতে হবে।
- যদি তিনি আদালতে আসামি হিসাবে গন্য না হন।
উপরে নির্বাচনের করার যোগ্যতা সম্পর্কে বলেছি। নিচে শিক্ষাগত বিষয়ে আলোচনা করেছি।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা
ইউপি বা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জন্য মেম্বার বা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর জন্য কোন শিক্ষাগত যোগ্যতার বাধ্যবাধকতা নেই। আপনি পড়ালেখা না করেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
তবুও আপনার মধ্যে নূন্যতম শিক্ষা জ্ঞান থাকা উচিৎ, একজন আদর্শ নেতা হিসাবে সবাই শিক্ষিতদের নির্বাচিত করে।
আশাকরি আপনার মনে প্রশ্ন দূর হয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক যে কারণে আপনি নির্বাচন করতে পারবেন না।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের অযোগ্যতা
অনেক কারণ আছে যেগুলোর জন্য একজন ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করতে পারবেন না নিম্ন:
- প্রার্থীর বয়স ২৫ বছরের কম হলে।
- বাংলাদেশের নাগরিকত হারালে বা ত্যাগ করলে।
- আদালত তাকে Bankruptcy বা দেউলিয়া ঘোষিত করলে।
- অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাগারে ২বছর থাকলে।
- কারাগার থেকে বের হওয়ার ৫বছর পূর্ণ না হলে।
- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে যুদ্ধাপরাধী হিসাবে বিবেচিত হলে।উপরে কারণ গুলো আপনার মধ্যে থাকলে আপনি নির্বাচনের অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।
উপসংহার
আশাকরি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সম্পর্কে আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন । যদি আপনার মনে কোন প্রকার প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না