দাঁত সাদা করার সহজ ও ঘরোয়া উপায়
দাঁত সাদা করার টিপস: হলুদ ও ময়লা দাঁতের কারণে অনেক সময় মানুষ মন খুলে হাসতেও পারে না। নোংরা ও হলুদ দাঁত মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে। আপনার দাঁতও কি হলুদ হয়ে যাচ্ছে? তাই আজ আমরা আপনাদের এমন কিছু ঘরোয়া উপায়ের কথা বলছি যা আপনার দাঁতকে সাদা মুক্তোর মতো উজ্জ্বল করবে। এতে আপনার দাঁতও সুস্থ ও মজবুত হবে।
দাঁত পরিষ্কার করতে সকালে ও রাতে ব্রাশ করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এটি আপনার দাঁতকে মজবুত ও চকচকে রাখে। তবে দুবার ব্রাশ করার পরও কারো কারো দাঁত হলুদ থেকে যায়। এমন পরিস্থিতিতে দাঁতের হলদে ভাব দূর করতে আপনি এই কার্যকরী ঘরোয়া উপায়গুলো অবলম্বন করতে পারেন।
কিভাবে দাঁতের হলদে ভাব দূর করবেন
1- বেকিং সোডা- আপনার দাঁত যদি খুব হলুদ হয়ে থাকে, তাহলে আপনি দাঁতের হলদে ভাব দূর করতে বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন। আপনাকে ১০ দিনের জন্য বেকিং সোডা ব্যবহার করতে হবে। এর জন্য আপনার ব্রাশে কিছু বেকিং সোডা নিয়ে ব্রাশ করতে হবে। বেকিং সোডা ব্যবহার করতে হবে। কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার দাঁত মুক্তা দিয়ে জ্বলতে শুরু করবে।
2- সরিষার তেল ও শিলা লবণ- দাঁতে সরিষার তেল ও রক সল্ট লাগালে দাঁতের হলদেটে ভাব ও পায়েরিয়ার সমস্যা দূর হয়। শিলা লবণে ব্যাকটেরিয়ারোধী বৈশিষ্ট্য এবং আয়রন, আয়োডিন, ফসফরাস, পটাসিয়াম, ক্রোমিয়াম, লিথিয়াম, সোডিয়াম, ক্লোরাইডের মতো উপাদান রয়েছে। মাউথ ফ্রেশনার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।
3- স্ট্রবেরি- স্ট্রবেরি খাওয়ার পাশাপাশি দাঁতে লাগাতেও ব্যবহার করা হয়। আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন যে কখনও কখনও বাচ্চাদের পেস্টেও স্ট্রবেরির স্বাদ পাওয়া যায়। স্ট্রবেরিকে দাঁতে ঘষে সাদা করতে পারেন। এরপর ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করুন। এর পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। দাঁত উজ্জ্বল হবে।
৪- লেবু ও কমলার খোসা- দাঁত সাদা করতে লেবু ও কমলার খোসা ব্যবহার করুন। এগুলো চিবিয়ে দাঁতে ঘষলে হলুদ দাঁত সাদা হতে শুরু করে। এটি আপনাকে সপ্তাহে দুবার করতে হবে। কিছু দিনের মধ্যে পার্থক্য দৃশ্যমান হবে।
5- নিমের দাঁত- নিম দাঁতের জন্য একটি ওষুধ। এটি দাঁত পরিষ্কার করে এবং দাঁত সাদা করে। দাঁতে জমে থাকা হলুদ ভাব দূর করতে দাতুনের চেয়ে ভালো বিকল্প আর নেই। প্রতিদিন নিম ব্রাশ করলে দাঁত চকচকে হয়।
বিঃদ্রঃ: এই পোস্টে উল্লিখিত , পদ্ধতি এবং দাবিগুলি নিশ্চিত না। এগুলিকে শুধুমাত্র পরামর্শ হিসাবে নিন। এই ধরনের কোনো চিকিৎসা/ঔষধ/খাদ্য অনুসরণ করার আগে, অনুগ্রহ করে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।